
ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে জেলা সদর এবং বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ধসে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
রবিবার চেঙ্গী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলা সদরের গঞ্জপাড়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদরের ন্যান্সি বাজার, শালবন, ভুয়াছড়ি, গুগড়াছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড় ধসের কারণে খাগড়াছড়ি-ভুয়াছড়ি সড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিস, আনসার বাহিনী ও স্থানীয় লোকজন মাটি সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ জেলা সদরের তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দুপুর এবং রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে মাইনী নদীর পানি বেড়ে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের ১০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দীঘিনালা-লংগদু আঞ্চলিক সড়কের ইয়ারং ছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। মেরুং হেডকোয়ার্টার এলাকায় পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বন্যার আশঙ্কায় দীঘিনালায় ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
মহালছড়ি উপজেলার পঙ্খিমুড়ার ঠান্ডাছড়া এলাকায় মহালছড়ি-জালিয়া পাড়া সড়কে পাহাড় ধসে পড়ায় গুইমারা উপজেলার আঞ্চলিক সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গুইমারা উপজেলার খালের পানি বেড়ে জালিয়াপাড়া-সিন্ধুকছড়ি সড়ক তলিয়ে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অতিরিক্ত পানিতে স্কুল, দোকানপাট এবং বসতঘর প্লাবিত হয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানিয়েছেন, বন্যা ও পাহাড়ধস মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে নাগরিকদের সরিয়ে আনতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং সেখানে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাহাড় ধসের ঘটনায় দ্রুত মাটি সরিয়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা হচ্ছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর