
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ফকিরবাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে কুরবানির পশুর হাট বসানোর অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, ভিন্ন নামে ইজারা নিয়ে হাট বসানো হচ্ছে বলে জানা যায়।
অভিযোগ উঠেছে, বুড়িচং উপজেলা যুবদলের সদস্য ও সদর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল ইজারা নিয়ে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে স্কুল মাঠে হাট বসাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাকশীমূল ইউনিয়নের ফকিরবাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে খুঁটি বসানো হয়েছে। মাঠে ‘বিশাল গরু-ছাগলের হাট’ নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে মাইকিংও করা হচ্ছে। আগামী ৪ জুন হাটটি বসার কথা রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, খুঁটি বসানোর কারণে খেলাধুলা করা যাচ্ছে না এবং মাঠের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া, ঈদের পর মাঠ দুর্গন্ধময় ও পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যায়।
বুড়িচং উপজেলা প্রশাসন ৯টি ইউনিয়নে ২১টি অস্থায়ী পশুর হাটের আহ্বান করে। এর মধ্যে ১৯টির দরপত্র দাখিল হয়। এই হাটগুলোর মধ্যে শংকুচাইল, দক্ষিণগ্রাম, কালিকাপুর, ফকিরবাজার, বাকশীমূল, বুড়িচং, পূর্ণমতি, খাড়াতাইয়া নতুন বাজার, পয়াত, ষোলনল বাবুর বাজার, গোবিন্দপুর, কন্ঠনগর, কোরপাই, পরিহলপাড়া, আবিদপুর, কংশনগর, কামারখাড়া ব্রীজ সংলগ্ন, পূর্বহুড়া ও লাটিয়ারপুল উল্লেখযোগ্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মোস্তফা কামাল ফকিরবাজারসহ চারটি বাজারের ইজারা নিয়েছেন। অতিরিক্ত লাভের আশায় তিনি বেশি দামে অন্যদের কাছে ইজারা হস্তান্তর করেন, ফলে ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হয়।
ফকিরবাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পিজিউল আলম জানান, গত তিন বছর ধরে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের মাঠে গরুর হাট বসতে দেওয়া হয়নি। এবার হাট ঠেকাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একাধিকবার খুঁটি তুলে ফেললেও ইজারাদার স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় খুঁটি বসিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, "আর বাঁধা দিলে আমাকে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হবে।"
এ বিষয়ে ইজারাদার মোস্তফা কামাল বলেন, "আমি স্থানীয় লোকজন ও প্রতিষ্ঠানকে ম্যানেজ করেই মাঠে খুঁটি বসিয়েছি।"
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন বলেন, "আমরা কোনো স্কুল-কলেজের মাঠে পশুর হাটের অনুমোদন দিইনি। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।"
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর