
"মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি" গানের গীতিকার ও সুরকার আপেল মাহমুদ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) শুনানিতে নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
সোমবার কুমিল্লা সার্কিট হাউজে জামুকার মহাপরিচালক শাহিনা খাতুনের উপস্থিতিতে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আপেল মাহমুদ মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩ নম্বর সেক্টরে ক্যাপ্টেন মতিউর রহমানের অধীনে সরাসরি সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রমাণ উপস্থাপন করেন। তিনি নরসিংদীর পাঁচদোনা এবং পরে আশুগঞ্জ, ভৈরব, রামনগর, হবিগঞ্জ, চুনারুঘাট, চানপুর টি-স্টেট ও তেলিয়াপাড়ায় যুদ্ধ করার কথা জানান। আশুগঞ্জের যুদ্ধে তিনি আহত হয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলা বেতার কর্মী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন যে আপেল মাহমুদ মুক্তিযোদ্ধা নন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে জামুকা আপেল মাহমুদকে তার স্বপক্ষে যাবতীয় দলিল ও সাক্ষ্য উপস্থাপনের জন্য নোটিশ দেয়।
শুনানি শেষে আপেল মাহমুদ বলেন, তিনি কোনো ক্ষতি না করা সত্ত্বেও মনোয়ার হোসেন কেন তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন, তা তিনি জানেন না।
শুনানির সময় আপেল মাহমুদের সহধর্মিনী নাসরিন মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শব্দসৈনিক মনোরঞ্জন ঘোষাল, বাংলাদেশ বেতারের সাবেক পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হায়াত খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সাহাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জামুকার মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন জানান, কুমিল্লা জেলা থেকে আসা ৩১টি অভিযোগের মধ্যে আপেল মাহমুদের অভিযোগটিও ছিল। আপেল মাহমুদ শুধু গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করেননি, বরং সম্মুখযুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন, যা তিনি প্রমাণ করেছেন।
আপেল মাহমুদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত "মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি" গানের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। এছাড়াও "তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর" তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য গান। সংগীতে অবদানের জন্য তিনি ২০০৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর