
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুরের ছয়টি উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রামের মুসলমানরা আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন।
সকাল ১০টা ও সাড়ে ১০টায় নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরী দরবার শরীফ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শাহ্ সুরেশ্বরী (রা.) এর অনুসারীরা নামাজ শেষে ভুনা খিচুড়ি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে দিনটি উদযাপন করেন। তবে তারা কোনো পশু কোরবানি দেন না।
সুরেশ্বরী দরবার শরীফ সূত্র জানায়, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হওয়ায় শরীয়তপুরের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ শাহ্ সুরেশ্বরীর (রা.) অনুসারী হিসেবে একই দিনে ঈদ উদযাপন করছেন।
সুরেশ্বরী দরবার শরীফের গদীনিশীন পীর সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহীন নূরী জানান, তারা ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরসহ সব ধর্মীয় উৎসব সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পালন করেন। তিনি বলেন, "আমরা মনে করি, পশু কোরবানি প্রকৃত কোরবানি নয়। নিজের ভেতরের পশুত্বকে কোরবানি করাই মূল লক্ষ্য।" পীরের নির্দেশ মেনে চলাই তাদের প্রধান কাজ এবং তারা নিয়মিত রোজা ও নামাজ আদায় করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সুরেশ্বরী দরবার শরীফের প্রধান গদীনিশীন পীর সৈয়দ কামাল নূরী জানান, তাদের পূর্বপুরুষ শাহ্ সুরেশ্বরী একটি নিয়ম রেখে গেছেন, যা সৌদি আরবের হিসাবের সঙ্গে মিলে যায়। তাই তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব পালন করেন।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর