
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় পুকুরে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বড়ঘোপ ইউনিয়নে পৃথক তিনটি ঘটনায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুদের বয়স ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে।
নিহতরা হলো অমজাখালী গ্রামের রোকনুজ্জামানের দুই বছর বয়সী মেয়ে রাফা, একই গ্রামের জসীম উদ্দিনের দুই বছর বয়সী ছেলে তাসিব এবং উত্তর বড়ঘোপ গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে তুহিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে রাফা বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর কিছুক্ষণ পর জসীম উদ্দিনের ছেলে তাসিবও একইভাবে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে উত্তর বড়ঘোপ গ্রামে তুহিন নামের পাঁচ বছর বয়সী একটি শিশু পুকুরে পড়ে যায়। তাকেও হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল হাসান জানান, এক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি শিশুর মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তিনি বলেন, এখানে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। প্রতিরোধে দ্রুত সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরমান হোসেন জানান, পুকুর বা ডোবার আশেপাশে শিশুদের খেলা প্রায়ই দুর্ঘটনার কারণ হয়। অভিভাবকদের অসচেতনতা এবং নজরদারির অভাবই অনেকাংশে দায়ী।
স্থানীয়দের ভাষ্য, কুতুবদিয়ার প্রায় প্রতিটি বাড়ির পাশেই পুকুর বা ডোবা থাকায় শিশুদের নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে। তারা শিশুদের নিরাপত্তায় পারিবারিক নজরদারি বাড়ানো এবং পুকুর ঘিরে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর