
লালমনিরহাটের তিনটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের শিকার তিনজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি ও স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে আরও নয়জন পুশইনের অপেক্ষায় শূন্যরেখায় অবস্থান করছেন।
আজ শনিবার হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার তিনটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এই পুশইনের ঘটনা ঘটে।
অনুপ্রবেশের শিকার ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সাতখুটা এলাকার মকবুল গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৫), একই এলাকার পুটুনি গ্রামের মৃত কামেম মোল্লার ছেলে আমজাদ মোল্লা (৪০) এবং নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাটেশ্বরী এলাকার আব্দুল মুকিত মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লা (৫০)।
সীমান্তবাসী ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া সীমান্তের ৯০৫/১ এস পিলার এলাকা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) জোরপূর্বক ওই তিনজনকে বাংলাদেশে পাঠায়। পরে বিজিবি তাদের আটক করে হাতীবান্ধা থানায় হস্তান্তর করে। আটককৃতরা আট-দশ বছর আগে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন এবং মুম্বাই শহরে কাজ করতেন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন-নবী জানান, পুশইনের শিকার ব্যক্তিরা বাংলাদেশি হওয়ায় বিজিবি তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সারডুবি সীমান্তের ৮৯১ নং পিলার এলাকায় তিনজনকে পুশইনের চেষ্টা করলে বিজিবি ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে বিএসএফ পিছু হটে। ফলে ওই তিনজন শূন্যরেখায় অবস্থান করছেন। তাদের প্রতিহত করতে বিজিবি কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।
একইভাবে, পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গারপাড় সীমান্তে নারীসহ ছয়জন বিজিবি ও স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে শূন্যরেখায় রয়েছেন। সব মিলিয়ে লালমনিরহাট সীমান্তে তিনজন পুশইনের শিকার হয়েছেন এবং নয়জন শূন্যরেখায় অবস্থান করছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর