সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ট্রাকচালক ফরিদুল ইসলাম বাদশা হত্যা মামলার প্রধান আসামি মনিরুল ইসলাম মনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে মনিরুলকে আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মাহমুদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে, শনিবার (১৪ জুন) রাতে সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকুরিয়া এলাকা থেকে মনিরুল ইসলাম মনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মনি পেশায় ট্রাকচালক এবং নিহত বাদশার ফুপাতো বোন জামাই ও বন্ধু।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই প্রণয় কুমার প্রামানিক জানান, মনিরুলকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যমতে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। জবানবন্দিতে মনি জানিয়েছেন, বাদশার সাথে তার স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কটি থেকে সরে আসতে নিষেধ করার পরও বাদশা তা না মানায় ক্ষোভে ও মনকষ্টে তিনি তাকে হত্যা করেছেন।

নিহত ফরিদুল ইসলাম বাদশা (২৭) একই এলাকার ইব্রাহিম হোসেন ওরফে কাঙ্গাল শেখের ছেলে। ঈদুল আযহার আগের রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঈদের দিন (০৭ জুন) ভোরে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের মা ফরিদা খাতুন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সালাউদ্দিন/সাএ