
বরগুনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগ একে ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে। প্রাক-বর্ষা মৌসুমে শুরু হওয়া এই রোগ ইতোমধ্যে মহামারি আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বরগুনায় এসেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল থেকে প্রতিনিধি দল বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে, তথ্য সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে। তারা ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গেও কথা বলেন।
চলতি মাসে বরগুনায় ডেঙ্গুতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা, শয্যা সংকট, চিকিৎসক ও ওষুধের অভাবের পাশাপাশি জনসচেতনতার ঘাটতির কারণে জেলার পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে।
বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯৮৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে ১ হাজার ৭৫২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮২ জন ভর্তি হয়েছেন এবং বর্তমানে ২৩৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সরকারি হিসেবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জন মারা গেছেন, তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা ১৭।
আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. রত্না দাস জানান, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে বরগুনায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের কারণ অনুসন্ধানের জন্য তারা এসেছেন। অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে, এটি শেষ হওয়ার পরেই প্রকৃত কারণ বলা সম্ভব হবে।
আইইডিসিআর অনুসন্ধানী প্রতিনিধি দলের টিম লিডার ডা. মো. তারিকুল ইসলাম লিমন বলেন, এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে জন্মায়। উপকূলীয় জেলা বরগুনায় সুপেয় পানি সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পাত্রে এডিস মশা জন্মাতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তি ও পরিবারকেন্দ্রিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর