ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ ও ককটেল উদ্ধারের ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি, যেখানে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলবে অভিযান।

বুধবার (১৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি প্রধান প্রবেশদ্বারে প্রক্টরিয়াল টিমের পাশাপাশি আনসার ও সশস্ত্র পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় তল্লাশি অভিযান চলবে।

ভবঘুরে উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং তাদের পুনর্বাসনের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসের আশেপাশে সেনা টহল বাড়ানোর জন্য সেনাবাহিনীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সভা করা হবে।

ক্যাম্পাসজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বৃদ্ধি, নষ্ট ক্যামেরা সংস্কার ও রাতের আলোকসজ্জা জোরদার করা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এহসান হত্যা মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে আইন মন্ত্রণালয় এবং তোফাজ্জল হত্যা মামলার বিচার ত্বরান্বিত করতে পিবিআইকে আলাদা চিঠি পাঠানো হবে। সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং এনএস আই ও ডিজি এফআইয়ের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দীন আহম্মদ, সিটি এসবি’র ডিআইজি মীর আশরাফ আলী, ডিজিএ ফআইয়ের প্রতিনিধি কর্নেল আব্দুল্লাহ, রমনা জোনের ডিসি মো. মাসুদ আলম, শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর, এন এস আই ও ডিবি’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সালাউদ্দিন/সাএ