
ঢাকা: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে গণমুখী শিক্ষা প্রবর্তন করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন কিন্তু কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেননি। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কথা শুনেছেন। শিক্ষাকে তিনি যে গুরুত্ব দিতেন, সেটি তার কার্যক্রমে পরিষ্কার হয়েছে। তিনি উৎপাদনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ নিয়ে গণমুখী শিক্ষা প্রবর্তন করেছিলেন। তার শিক্ষা চিন্তা ছিলো দূরদর্শী।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জিয়াউর রহমান অর্থনীতি, শিক্ষা, রাষ্ট্রনীতি থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে একটি ভিত্তির ওপর সবকিছু দাঁড় করিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনকাল ছিল গৌরবের শাসনকাল। খালেদা জিয়া এখন রাজনীতিতে না থাকলেও তিনি উচ্চাসনে আছেন এবং সেটাও সম্ভব হয়েছে জিয়াউর রহমানের জন্য।’
মূল প্রবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও ভাবনায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং কারিগরি ও মানবিক শিক্ষা গুরুত্ব পেয়েছিল। শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেন জাতীয় চেতনা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল মূল্যবোধকে ধারণ করে, তিনি সেটা প্রত্যাশা করতেন। তিনি মনে করতেন, কেবল মেধা বা ভালো ফলাফল নয়, বরং শিক্ষার্থীর চরিত্র গঠন ও তার মধ্যে মানবীয় মূল্যবোধ তৈরি করা শিক্ষার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
ঢাবি সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর