
কুমিল্লার লাকসামে শ্বশুরকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূ তাসলিমা আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছাঃ ফরিদা ইয়াসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত তাসলিমা আক্তার লাকসাম উপজেলার আশকামতা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বিল্লাল হোসেন ঢাকায় চাকরি করার সুবাদে তার স্ত্রী তাসলিমা বিভিন্ন জনের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শ্বশুর চাঁন মিয়া (৭০) পুত্রবধূকে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় ২০১৪ সালের ১০ জুলাই দিবাগত রাতে তাসলিমা ধারালো ছুরি দিয়ে শ্বশুরের বুকে আঘাত করেন এবং ব্লেড দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ১১ জুলাই চাঁন মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ এনামুল হক তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি বিচারে এলে আদালত ২৯ মার্চ, ২০১৫ তারিখে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের একাধিক সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনার পর আদালত তাকে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ভিকটিম চাঁন মিয়া স্থানীয় একটি মসজিদের মোয়াজ্জেম ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ভূইয়া। তিনি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর