
বগুড়া: শেরপুরে নববধূকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে বন্ধুর লাঠির আঘাতে শাহীন আলম (৩৫) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শেরপুর পৌর এলাকার জগন্নাথপাড়া মোড়ে। শাহীন আলম খামারকান্দি ইউনিয়নের পারভবানীপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর সাহাপাড়া এলাকার আতোয়ার কসাইয়ের মেয়ে আঞ্জুর সঙ্গে প্রায় ১৮ বছর আগে পারভবানীপুর গ্রামের আসাদুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে দুই মাস আগে আঞ্জু আসাদুলকে তালাক দেন। এরপর গত ১৫ জুন আঞ্জু আসাদুলের খালাতো ভাই ও বন্ধু শাহীন আলমকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর শুক্রবার রাতে নববধূকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন শাহীন আলম। রাত সোয়া ১১টার দিকে তারা জগন্নাথপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আসাদুল ইসলাম কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে তাদের পথরোধ করেন। একপর্যায়ে আসাদুল লাঠি দিয়ে শাহীন আলমের মাথায় আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত হয়ে পড়ে যান।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার পর আসাদুল ইসলাম স্ত্রী আঞ্জুকে নিজের বাবার বাড়িতে রেখে যান।
শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সর্বশেষ খবর