
সুনামগঞ্জ: টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় পর্যটকদের জন্য ১৩টি নির্দেশনা জারি করেছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। হাওরে ভ্রমণকালে এসব নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
শনিবার জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা সংবলিত একটি ফটোকার্ড প্রকাশ করা হয়।
নির্দেশনায় যা করণীয়:
১. জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত নৌপথ ব্যবহার করতে হবে।
২. লাইফ জ্যাকেট পরিধান করতে হবে।
৩. প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪. দূর থেকে পাখি ও প্রাণী পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং ফ্ল্যাশ ছাড়া ছবি তুলতে হবে।
৫. স্থানীয় গাইড ও পরিষেবা গ্রহণ করতে হবে।
৬. ক্যাম্পফায়ার বা আগুন জ্বালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
নির্দেশনায় যা বর্জনীয়:
১. উচ্চ শব্দে গান-বাজনা করা বা শোনা যাবে না।
২. হাওরের পানিতে অজৈব বা প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য/বর্জ্য ফেলা যাবে না।
৩. মাছ ধরা, শিকার করা বা পাখির ডিম সংগ্রহ করা যাবে না।
৪. পাখিদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটানো যাবে না।
৫. ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু বা রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না।
৬. গাছ কাটা, গাছের ডাল ভাঙা বা বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যাবে না।
৭. কোর জোন বা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না এবং মনুষ্যসৃষ্ট জৈব বর্জ্য হাওরে ফেলা যাবে না।
ফটোকার্ডে টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিচিতি তুলে ধরে বলা হয়েছে, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলাধীন ১০টি মৌজা জুড়ে ছোট-বড় ১০৯টি বিলের সমন্বয়ে এই হাওর গঠিত। মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই হাওরের আয়তন প্রায় ১২,৬৫৫.১৪ হেক্টর। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি।
হাওর পাড়ের সচেতন নাগরিক ও পরিবেশকর্মীরা বলছেন, পরিবেশগত ঐতিহ্য ও গুরুত্বের কারণে সরকার টাঙ্গুয়ার হাওরকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। রামসার কনভেনশনের অধীনে এটি একটি রামসার এলাকা হিসেবে তালিকাভুক্ত। এই হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় পর্যটকদের সচেতনতা জরুরি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর