"সার্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে ভবিষ্যত জীবন" এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত হলো পেনশন মেলা। রবিবার পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরে জেলা প্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এই মেলার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব আ ফ ম ফজলে রাব্বি। এসময় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অতিথিরা মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

পরে সরকারি অডিটোরিয়াম হলরুমে আলোচনা সভা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক সাবেত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুগ্মসচিব আ ফ ম ফজলে রাব্বি, সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান, ছাত্র প্রতিনিধি ফজলে রাব্বি, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইকবাল হোসাইন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (উপসচিব) সিরাজুম মনিরা প্রজেক্টরের মাধ্যমে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুমন চন্দ্র দাশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুগ্মসচিব আ ফ ম ফজলে রাব্বি বলেন, এই আয়োজন গ্রাহক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে সহায়ক হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই মেলা আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমের চারটি স্কিম—প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতার বিভিন্ন সুবিধা তুলে ধরা হয়। নতুনভাবে সংযোজিত সুবিধা, যেমন পেনশনে গমনের সময় আগ্রহীর জন্য জমা করা টাকার ৩০ শতাংশ এককালীন উত্তোলনের সুযোগ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয় ও গ্রাহক জমার বিনিয়োগের উপর কর অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, নতুন সুবিধা যুক্ত হওয়ায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম আরও লাভজনক হবে। এই স্কিমের পরিচালন ব্যয় সরকার বহন করে এবং সমুদয় বিনিয়োগ মুনাফা গ্রাহক পেয়ে থাকে। এছাড়াও গ্রাহকরা বিনিয়োগ রেয়াত সুবিধা পান। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ও গ্রাহকের জমা করা অর্থের বিনিয়োগ করমুক্ত হওয়ায় এটি এখন আরও আকর্ষণীয় এবং লাভজনক স্কিম।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শ্রমিক সংগঠনের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী, ব্যাংক ও বিমা সংস্থার প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেন।

মেলায় ব্যাংক, বিমা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা সেন্টারসহ ২৭টি স্টল অংশগ্রহণ করে।