
যুক্তরাষ্ট্র গোপনে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় একযোগে বোমাবর্ষণ করেছে রোববার ভোরে। “অপারেশন মিডনাইট হ্যামার” নামের এই অভিযানে ব্যবহার করা হয় ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা এবং সাবমেরিন থেকে ছোড়া টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা জানান, ইরান কোনোভাবেই এই হামলার পূর্বাভাস পায়নি এবং একটিও মার্কিন বিমানে আঘাত হানতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেলথ B-2 বোমারু বিমানগুলো ১৮ ঘণ্টা গোপন ফ্লাইটে অংশ নিয়ে ইরানে প্রবেশ করে। বোমারু বিমানগুলো ফোর্ডো ও নাতান্জের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে এবং সাবমেরিন থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র ইসফাহানের স্থাপনায় আঘাত হানে। হামলায় ব্যবহৃত হয় ৭৫টি নির্ভুল নির্দেশিত অস্ত্র, যার মধ্যে ছিল ১৪টি ‘GBU-57’ বাঙ্কার বাস্টার এবং দুই ডজনের বেশি টমাহক মিসাইল।
হামলার আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময় লাগবে। তবে বাস্তবে ওই ঘোষণার ছায়াতেই হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়। বিভ্রান্তিমূলকভাবে কিছু বোমারু বিমান পশ্চিম দিকে পাঠানো হয়, আর মূল হামলাকারী বিমানগুলো পূর্ব দিকে ইরানের দিকে অগ্রসর হয় চরম গোপনীয়তায়।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে গুরুতর আঘাত হেনেছে। তবে ইরান তা অস্বীকার করে বলেছে, হামলায় তেমন ক্ষতি হয়নি এবং তারা এর উপযুক্ত জবাব দেবে। হামলার পরপরই জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত এলাকায় কোনো তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মেলেনি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, “আমাদের B-2 গুলো এসেছিল, আঘাত হেনেছে এবং ফিরে গেছে—বিশ্ব কিছু জানার আগেই সব শেষ।” অভিযানে যুক্ত ছিল ১২৫টি বিমান। এই মিশন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্টেলথ হামলা বলে উল্লেখ করেছে পেন্টাগন।
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর