
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ উঠেছে। সমিতির কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে নিয়ম ভেঙে গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায়, গাংনী উপজেলার করমদী মাঠপাড়ায় সেচ পাম্পের লাইনের জন্য স্থানীয় দালাল ইমারুল, খোকন ও ঠিকাদার মোজাম্মেল হোসেনের মাধ্যমে সাহাদুল ও মিলন নামের দুই ব্যক্তি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। তবে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সেই টাকা জমা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই মাঠে তিন মাস আগে আটটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার টাঙানো হয়েছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে টাকা জমা না হওয়ায় খুঁটি ও তার টাঙানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, দালালদের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার পরও সংযোগ না পেয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন।
করমদী গ্রামের সাহাদুল ইসলাম জানান, সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য তিনি দালাল ইমারুলকে দেড় বছর আগে ২ লাখ টাকা দিয়েছেন। একই গ্রামের মিলন হোসেন জানান, তিনি দালাল খোকনের মাধ্যমে ঠিকাদার মোজাম্মেলকে ৪ লাখ টাকা দিয়েছেন। তবে এখন তারা জানতে পেরেছেন, তাদের দেওয়া টাকা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা হয়নি এবং অবৈধভাবে সংযোগের কাজ হয়েছে।
অভিযুক্ত দালাল ইমারুল ও খোকন একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। তবে ঠিকাদার মোজাম্মেল হোসেন জানিয়েছেন, বিষয়টি তার মনে নেই, খোঁজ নিয়ে জানাবেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিনামূল্যে সরবরাহের ট্রান্সফার দালাল দিয়ে বিক্রি, অবৈধ সংযোগ, খুঁটি স্থাপনে অনিয়ম ও ভুয়া বিদ্যুৎ বিল তৈরির মাধ্যমে সমিতির কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
বামন্দী সাব জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) সৌমিক নাসের জানান, করমদী গ্রামের মাঠের কাজটির পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অফিসের কোনো অনুমোদন নেই। নিয়ম অনুযায়ী, টাকা জমা দেওয়ার পর ঠিকাদার নির্বাচন করে কাজ দেওয়ার কথা। কিন্তু এখানে টাকা জমা দেওয়ার আগেই লাইন টানা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার স্বদেশ কুমার ঘোষ জানান, ওই লাইনটি কিভাবে হয়েছে, তা তার জানা নেই। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর