
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কোনো ভূঁইফোঁড় বা হঠাৎ করে আবির্ভূত হওয়া সুবিধাভোগীকে দলে অন্তর্ভুক্ত করবে না বলে শেরপুর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা।
গতকাল রবিবার (২৯ জুন) বগুড়া জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রেজাউল করিম বাদশা বলেন, বিএনপি যখন রাজপথে লাঠি-গুলির মুখে আন্দোলন করেছে, তখন যারা মাঠে ছিলেন না, তারা এখন দলের পদ-পদবি নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন, এটি হতে দেওয়া হবে না। বিগত ১৭ বছর ধরে যারা দলের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন, নিপীড়ন সহ্য করেছেন, তারাই হবেন অগ্রাধিকার।
শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাহালু-নন্দীগ্রামের এমপি মোশারফ হোসেন। শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কেএম মাহবুবুর রহমান হারেজ, বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শফিকুল আলম তোতা, সহ-সভাপতি ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাফতুম আহমেদ খান রুবেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম মামুন, কে এম খায়রুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান হেলাল, কোষাধ্যক্ষ শাহাদাত হোসেন, বগুড়া জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, বগুড়া জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব এনামুল হক সুমন প্রমুখ।
এছাড়াও বিএনপি নেতা পিয়ার হোসেন, মাহবুবুল আলম হিরু, মামুনুর রশিদ আপেল, মোয়াজ্জেম হোসেন, যুবদল নেতা আশরাফুদ্দৌলা মামুন, জাকারিয়া মাসুদ, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা শাহ মোহাম্মদ কাওসার কলিংস, হাফিজুল আসিফ শাওনসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ভূঁইফোঁড়দের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৃণমূল পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে সদস্য নেওয়া হবে এবং দলের প্রকৃত ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের মাধ্যমেই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলা হবে। সাময়িক লাভের আশায় কেউ যেন আদর্শ ও ত্যাগকে উপেক্ষা না করে, কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমন বার্তাও দেওয়া হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর