
বরগুনা: বরগুনায় ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় বায়জিদ (১৩) নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা সদর উপজেলার বরগুনা ইউনিয়নের কালিরতবক গ্রামে। বায়জিদ আমতলী উপজেলার চরকগাছিয়া দিনিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত রোববার দুপুরে বায়জিদের প্রচণ্ড জ্বর হলে তার বাবা মামুন মুছুল্লি বরগুনার হাতুড়ে ডাক্তার বিধান রঞ্জনের কাছে নিয়ে যান। অভিযোগ রয়েছে, বিধান রঞ্জন কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বায়জিদকে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখে দেন। ওই ওষুধ সেবনের পর রাত ১টার দিকে শিশু বায়জিদের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার এস এম শামসুল আরেফিন বলেন, একজন জ্বরের রোগীকে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বিধান রঞ্জন কিভাবে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দিলেন, সেটাই ভাবার বিষয়। তিনি বলেন, জ্বর হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু পজিটিভ কিংবা অন্য কোনো রোগ নির্ণয় করে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই বিধান বাবু কিভাবে ব্যবস্থাপত্র দিলেন, তা বোধগম্য নয়। এটি নিঃসন্দেহে অপচিকিৎসা।
এদিকে, দুই দিন আগে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরীয়ত উল্লাহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বরগুনায় তিনজন ভুয়া চিকিৎসককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন এবং একজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। জরিমানাকৃতদের মধ্যে বিধান রঞ্জনও ছিলেন। তিনি মুচলেকা দেন যে, আর কখনো চেম্বারে বসবেন না এবং রোগী দেখবেন না। তার পরও তিনি কিভাবে চেম্বারে বসে রোগী দেখছেন, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর