
টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলায় পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা অবাধে বিক্রি হচ্ছে। হাট-বাজার এবং ভ্যানে করে ফেরি করেও এসব চারা বিক্রি করা হচ্ছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এই গাছগুলোর চারা ও কাঠের বাজার দিন দিন বাড়ছে, যা পরিবেশ ও কৃষির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
পরিবেশবিদদের মতে, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ মাটির গভীর থেকে প্রচুর পানি শোষণ করে, ফলে आसपासের জমি शुष्क হয়ে পড়ে। এছাড়া, এই গাছের নিচে অন্য কোনো গাছপালা সহজে জন্মাতে পারে না, जिससे জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি এই গাছের পাতা ও ছাল পচনশীল না হওয়ায় মাটির উর্বরতাও কমে যায়।
চারা ব্যবসায়ীরা জানান, হাটে এসব গাছের চারা বিক্রিতে কেউ বাধা না দেওয়ায় তাঁরা বিক্রি করছেন। বাধা দেওয়া হলে তাঁরা বিক্রি বন্ধ করে দেবেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ দ্রুত বাড়ে এবং কাঠ বিক্রি করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। এ কারণে অনেকেই এই গাছ রোপণ করছেন। তবে এতে জমি চাষাবাদের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গোপালপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম শফিক জানান, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি জাতীয় গাছের উৎপাদন ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। বিভিন্ন সময়ে নার্সারিতে গিয়ে এ জাতীয় গাছের চারা नष्ट করা হয় এবং উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের জন্য প্রচারণা চালানো হয়।
গোপালপুরের সচেতন নাগরিকরা ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ রোপণ বন্ধে জরুরি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. তুহিন হোসেন জানান, নার্সারি ও হাটবাজারে ইউক্যালিপটাস গাছের উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকার সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা উৎপাদন, রোপণ এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর