
রাতের ভোট ও ভোট জালিয়াতির কারণে প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তা পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি (আরএফডি) আয়োজিত ফল উৎসব ও সাংবাদিক অ্যাক্সেস কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আরএফডি’র সভাপতি কাজী জেবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমান, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, "১৫ বছর লড়াই করেছি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। যেদিন ভোটারেরা একদম নিশ্চিন্তে, নিজস্ব উদ্যোগে, বিনা বাধায়, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বের হতে পারবে, বাড়ি ফিরে যেতে পারবে, সেদিনই আমরা বলব ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা একসময় সরকারি চাকরি করেছি। আপনাদের কোনো সাংবাদিককে কেউ সমালোচনা করলে আপনাদের খারাপ লাগবে। আমরা যতই দোষ দেই না কেন, যখন মানুষ সমালোচনা করে যে রাতে ভোট হয়েছে এবং জালিয়াতি হয়েছে, তখন খারাপ লাগে। এই অপবাদ কেন সবাইকে নিতে হচ্ছে?"
সিইসি বলেন, "আমার সহকর্মী, প্রশাসন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমার আবেদন, আমরা সবাই মিলে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের মতো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারি। প্রশাসনের যে ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে, পুলিশের ভাবমূর্তি সিরিয়াসলি এফেক্টেড হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি সিরিয়াসলি এফেক্টেড হয়েছে, এই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের এটাই সুযোগ।"
তিনি আরও বলেন, "যারা নির্বাচনের সাথে জড়িত থাকবেন, তাদের কাছে করজোরে আবেদন জানাবো, মানুষের শ্রদ্ধা অর্জনের চেষ্টা করুন। যে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, সেটা থেকে আপনারা উঠে আসুন। আমরা প্রমাণ করতে চাই যে সরকারি কর্মচারীরা পারে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পারে, যদি তারা সত্যিকার অর্থে আন্তরিক হয়।"
ইলেকশনের তারিখ নিয়ে সিইসি বলেন, ভোটের দুই মাস আগে বিস্তারিত জানানো হবে।
গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজকর্ম ও বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে তিনি ভিউ বাড়ানোর জন্য নেতিবাচক শিরোনাম না করার অনুরোধ জানান।
সর্বশেষ খবর