
টানা ভারী বর্ষণের কারণে নোয়াখালীর কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বহু গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) জেলায় ২০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় রাস্তাঘাট, ফসলের মাঠ এবং ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। আকস্মিক পানি বৃদ্ধিতে অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৬৮টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, রাতে তার বাড়ির উঠানে পানি ওঠে এবং সকালে ঘরের ভেতরেও পানি প্রবেশ করে। ফলে তিনি বাচ্চাদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছেন। চরফকিরা ইউনিয়নের ফয়জুন্নাহার মুন্নী জানান, টানা বৃষ্টির কারণে বসতঘরে হাঁটুসমান পানি উঠেছে।
জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েক দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে, ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি নজরে রাখছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম আগামী ১০ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকবেন এবং বিদ্যালয়গুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসরাত নাসিমা হাবীব।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর