
অনিয়ম, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে আপসহীন থেকে কলম চালিয়ে যাওয়া নাগরিক সাংবাদিক খাইরুল আলম রফিক। ‘দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে তাঁর সাহসী ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সমাজের গভীরে প্রোথিত অনেক অন্ধকার উন্মোচন করেছে। তবে এই নির্ভীক পথচলার কারণে তিনি বিপদ ও ষড়যন্ত্রের মুখে পড়েছেন। মাদক কারবারি ও দুর্নীতিবাজ চক্রের মিথ্যাচার, অপপ্রচার এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি।
অনুসন্ধানীমূলক নিউজ নিয়মিতভাবে প্রকাশ করার কারণে একটি গোষ্ঠী তাঁর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়েছে। এর আগে প্রায় সাত মাস ধরে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তৈরি করে সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিককে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়। এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হলে পুলিশ সোবেদ আলী রাজা নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।
অন্যদিকে, ময়মনসিংহ শহরের চিহ্নিত মাদক কারবারি বিল্লাল হোসেন মানিক সাংবাদিক রফিককে মাদক কারবারি আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার চালায়। পরবর্তীতে র্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে বিল্লাল হোসেন মানিককে ৩৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করে।
২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে কয়েকজন ব্যক্তি সাংবাদিক রফিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তিনি জানতে পারেন, তাদের নেতৃত্বে ছিলেন এসআই আকরাম হোসেন। তাঁকে ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া এলাকার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তিন দিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের শিকার সাংবাদিককে জীবননাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক জানান, সেই সময় তাঁকে বিবস্ত্র করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়েছিলো। এরপর তাঁকে আদালতে হাজির করা হয় এবং তিনি প্রায় দুই মাস কারাভোগ করেন।
"প্রতিদিনের কাগজ" পত্রিকার প্রধান সম্পাদক খাইরুল আলম রফিক দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ও দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর