• ঢাকা
  • ঢাকা, শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৫২ সেকেন্ড পূর্বে
সোহেল রানা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২৫, ০৪:১৮ দুপুর

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি, ভাঙন আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। সেই সাথে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীগুলোর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ৩০ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ১৭ সেন্টিমিটার এবং কাজীপুর উপজেলার মেঘাই পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫৫ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ১৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর, চৌহালী, বেলকুচি ও শাহজাদপুর—এই পাঁচটি উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু আবাদি জমি ও বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া, নদী তীরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে এবং নিচু রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়ায় চলাচলে মানুষের সমস্যা হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারি ও বাহুকা, কাওয়াকোলা চরাঞ্চল, কাজিপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, খাসরাজবাড়ি, চৌহালী উপজেলার খাসবাজবাড়ি ইউনিয়নের জনতার স্কুল এলাকা ও স্থল ইউনিয়নের তেঘরি, শাহজাদপুর উপজেলার গালা, সোনাতনী ও কৈজুরী এবং বেলকুচি উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব অঞ্চলের আখ, পাট, বাদাম ও কাউনসহ বহু ফসলি জমি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। কাজিপুরের চরগিরিশ ইউনিয়নের ভেটুয়া এলাকায় অন্তত শতাধিক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। কাজিপুরের নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের ফুলজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরগিরিশ নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ও ভেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে পড়েছে। চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নের তেঘরি এলাকা ও ভাটপিয়ারী এলাকায় ভাঙন রোধের দাবিতে সম্প্রতি মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, নদীতে পানি বাড়ার কারণে প্রবল স্রোত নদী তীরে আঘাত হানছে। এ কারণে নদীতীরের কিছু স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী ও বাহুকা এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। এছাড়া নদীতীরে সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, নদীতে পানি বাড়লেও বন্যার আশঙ্কা নেই, তবে চরাঞ্চলের ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোনো প্রকল্প এই মুহূর্তে হাতে নেই।

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com