
গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৬ শিশু। হামলায় মোট নিহত হয়েছেন ৫৯ জন প্যালেস্টিনি। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই।
রবিবার (১৩ জুলাই) সকালবেলায় এই হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শরণার্থী শিবিরের একটি পানির বিতরণ কেন্দ্রে মানুষ পানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক তখনই ইসরায়েলি বাহিনীর একটি মিসাইল সেখানে আঘাত হানে।
স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। শুধু নুসেইরাত ক্যাম্পেই নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন, যার মধ্যে রয়েছে ৬ শিশু। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৭ জন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (IDF) এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তবে “প্রযুক্তিগত ত্রুটির” কারণে মিসাইলটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সাধারণ জনগণের ভিড়ে আঘাত হানে।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫৮,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যকই নারী ও শিশু।
এদিকে গাজায় চরম পানির সংকট চলছে। ইসরায়েলি অবরোধ এবং অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে অধিকাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না। ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে, অনেক সময় শিশুরাও পানি সংগ্রহ করতে যায়—আর সেই সময়েই এ ধরনের মর্মান্তিক হামলার শিকার হন তারা।
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের এমন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং গাজায় অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রবেশের দাবি জানিয়েছে।
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর