
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা আফজালুল উলুম (এইউ) বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার মাদ্রাসা সংলগ্ন বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা বিন্ন্যাকুড়ি এলাকায় ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ অহিদুল ইসলাম এম.এম.এল.এস পদে মনারুল ইসলামের কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা এবং আয়া পদে লায়লা আক্তারের কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নিয়ে তাঁদের নিয়োগ দেন। ২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড তাঁদের সুপারিশ করে এবং গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই বছরের ১২ অক্টোবর তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র অনুযায়ী তাঁরা ১৩ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে নিয়মিত চাকরি করে আসছেন।
তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বেতন না হওয়ায় তাঁরা জানতে পারেন, অধ্যক্ষ তাঁদের পরিবর্তে অন্য ব্যক্তিদের এমপিওভুক্ত করেছেন। এর প্রতিবাদ করলে অধ্যক্ষ তাঁদের হুমকি দেন। তাঁরা চাকরি ফেরত এবং অধ্যক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এলাকাবাসী রহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলাম তাঁর ছেলে, দুই জামাতা ও দুই শ্যালকের ছেলেকে চাকরি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন এবং বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ মাওলানা অহিদুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মরহুম আমজাদ হোসেন ওই পদে নিয়োগের জন্য টাকা নিয়েছিলেন। পরে তাঁকে নিয়োগপত্র দিতে বললে তিনি তা দেন। তবে আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর আগে তিনি তাঁদের টাকা ফেরত দিয়েছেন। আত্মীয়দের নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এছাড়াও তিনি ওলামা লীগের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর