• ঢাকা
  • ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ১৬ মিনিট পূর্বে
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০২৫, ১০:৪১ দুপুর

ইংলিশ মিডিয়ামের সেই ছাত্রীকে নিয়ে শায়েখ আহমাদুল্লাহর স্ট্যাটাস

ফাইল ফটো

বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে নিজের সুরক্ষা চেয়ে আদালতে মামলা করা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থী মেহরীনকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আলোচিত বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ।

সোমবার (১৪ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন তিনি।

পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, এই বৃষ্টিস্নাত দিনে ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া আলোচিত সেই মেয়েটির বাবা-মায়ের কথা ভাবছি। নিশ্চয় বুকে জমানো সবটুকু আবেগ, ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে তারা মেয়েটিকে বড় করছিলেন।

তিনি উল্লেখ করেন, ছোটবেলায় মেয়েটি যখন জ্বরে পড়েছে, বাবা-মায়ের অসংখ্য নির্ঘুম রাত নিশ্চয় মেয়ের শিয়রে বসে কেটেছে। মেয়েটি কোনো কিছু পাওয়ার আবদার করলে বাবা-মা হয়তো হৃদয় উজাড় করে তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। নিজেদের কষ্টার্জিত উপার্জন নিশ্চয় তারা ব্যয় করেছেন মেয়েটির সুস্থ-সবল ও হাসি-আনন্দে বেড়ে ওঠার জন্য। নিজেদের চেয়ে মেয়েকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন সবকিছুতে।

আহমাদুল্লাহ বলেন, মেয়ে বাবা-মায়ের চক্ষু শীতলকারী সন্তান হবে- আর দশজন বাবা-মায়ের মতো এমন স্বপ্ন তারাও নিশ্চয়ই লালন করতেন। কিন্তু কে জানত, জীবনের মাঝপথে এসে ডানাভাঙা পাখির মতো তাদের সব আশা লুটিয়ে পড়বে মাটিতে!

তিনি উল্লেখ করেন, সন্তানের করা মামলায় সেই বাবা-মাকে যখন জনাকীর্ণ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল, অসংখ্য মিডিয়ার সামনে তীর্যক গলায় মেয়েটি যখন বাবা-মাকে ক্রিমিনাল বলছিল, তাদের মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল? নিশ্চয় তারা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। বড় বেশি মায়া হচ্ছে ওই হতবাক বাবা-মায়ের জন্য।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমরা প্রায় সবাই ছোটবেলায় মা-বাবার শাসনের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। এই পরিণত বয়সে এসে সেসব দৃশ্য যখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে, বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধায় নুয়ে পড়ে হৃদয়, চক্ষু হয়ে ওঠে অশ্রুসজল। তাদের সেসব আদরমাখা শাসনই আমাদের আজকের সাফল্যের সিঁড়ি। আজ এই মুহূর্তে একটি কথা বড় বেশি মনে হচ্ছে, তাদের শাসন ছিল অন্যদের আদরের চেয়েও মূল্যবান, জীবনের পথ নির্দেশক।

পোস্টে তিনি বলেন, আজকাল প্রায়ই সন্তানরা আমাদের স্বপ্নভঙ্গ করছে। এর দায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের, মা-বাবাদের। পশ্চিমা সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমরা অনেক বেশি বস্তুবাদী, ভোগবাদী, আত্মকেন্দ্রিক ও ক্যারিয়ারিস্ট হয়ে উঠছি। সন্তান প্রতিপালনের ক্ষেত্রে ইমান, আত্মপরিচয়, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধকে আমরা উপেক্ষা করছি। সন্তানের ক্যারিয়ার, ইহজাগতিক সাফল্যই আমাদের কাছে হয়ে উঠছে প্রধান অর্জন। ফলে একটা সময় আমাদের সন্তানরা হয়ে উঠছে স্বেচ্ছাচারী, উচ্ছৃঙ্খল, বেপরোয়া। যার সর্বশেষ পরিণতি আমরা দেখলাম, অধিকার খর্বের অভিযোগে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে সন্তানের মামলা। এটাই বোধহয় সতর্কতার কফিনে শেষ পেরেক।

আহমাদুল্লাহ আরও উল্লেখ করেন, এরপরও যদি আমরা না শুধরাই, পড়াশোনার পাশাপাশি সন্তানকে আত্মপরিচয় ও মূল্যবোধ না শেখাই, তবে আফসোস, হতাশা ও স্বপ্নভঙ্গের বেদনাই হবে আমাদের চিরসাথী। সেই দুর্দিন আসার আগেই আসুন সচেতন হই।

রার/সা.এ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]