কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুলাই মানিকগঞ্জের খালপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। এতে ডজনখানেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শহরের খালপাড় এলাকায় জড়ো হওয়ার সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
খালপাড় এলাকার এক মুদি দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, "ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে তারা অতর্কিত হামলা চালায়। শিক্ষার্থীদের রক্তে ব্রিজ এলাকা ভিজে যায়।"
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাদমান শাফিন তাজ জানান, "আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা হামলা চালালে কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়, তা নিয়ে আমরা দিশেহারা ছিলাম। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিন্নাহ খান এবং জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতা আমাদের সহযোগিতা করেছেন।"
তাজ আরও বলেন, "আমাদের মিছিলটি ব্রিজের উপরে উঠতেই ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। রিতা আপা আমাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে থাকেন।"
এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিন্নাহ খান বলেন, "শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ করলে আমি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। তিনি ইতিবাচক সাড়া দিলে শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেই।"
আন্দোলনকারীরা জানান, গত ৪ আগস্ট তারা আবারও মাঠে নামেন এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীদের প্রতিহত করতে সক্ষম হন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর