
কক্সবাজারে নবগঠিত রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টির (এনসিপি) পূর্বনির্ধারিত তিনটি পথসভা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা ও বিক্ষোভের মুখে পণ্ড হয়ে গেছে। রামু, ঈদগাঁও ও চকরিয়ায় সভাগুলো হওয়ার কথা ছিল। এনসিপির অভিযোগ, বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দেওয়ায় তারা কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা কক্সবাজার ত্যাগ করেন।
এনসিপির সূত্র জানায়, কক্সবাজার শহরের দৌলত ময়দানে আয়োজিত জনসভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে উদ্দেশ্য করে কিছু বক্তব্য রাখেন। সেখানে ‘গডফাদার’ ও ‘চাঁদাবাজি’র মতো শব্দ ব্যবহার করায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরপর জেলাজুড়ে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভে অংশ নেয়।
শনিবার বিকেলে চকরিয়ার জনতা মার্কেটের সামনে এনসিপির পথসভার মঞ্চ ভাঙচুর করা হয় এবং মাইকিং বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এনসিপির দাবি, বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে তাদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে এবং ট্রাকের কাচ ভেঙে দিয়েছে। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এনসিপির গাড়িবহর নিরাপদে কক্সবাজার ছেড়ে গেছে এবং পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এনসিপির চকরিয়া উপজেলার সংগঠক খাইরুল বাশার বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে সভাস্থল দখল করে নিয়েছে।
অন্যদিকে, বিএনপি নেতাকর্মীরা এনসিপির বক্তব্যকে ‘অপমানজনক’ ও ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বলে দাবি করেছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না বলেন, জাতীয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় কক্সবাজারের মানুষ মেনে নেয়নি এবং তারা এর প্রতিবাদ করেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, এনসিপি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে এবং তাদের বক্তব্য রাজনৈতিক শালীনতা ভেঙে দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নতুন দল এনসিপির আগমন, স্থানীয় রাজনীতির প্রতিক্রিয়া এবং দলীয় অবস্থান নিয়ে আরও উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর