
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মানবতাবিরোধী অপরাধের ৭টি পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে আগামী ৩ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।
রোববার (২০ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে সময়ের আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, দীপু মনি, আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ৪৫ জন।
এর আগে একই দিনে ওই মামলায় ৩৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, কামরুল ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর, একই ঘটনার দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় ওই সময় এই সময়সীমা পরবর্তীতে দুবার বাড়ানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো ও হত্যার পরিকল্পনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। অভিযোগ রয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এরপর ওই আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। পরে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশে দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচারের সিদ্ধান্ত নেয়।
সর্বশেষ খবর