বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণে জড়িত কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে শেরে বাংলা থানায় গত ২২ জুন একটি মামলা দায়ের হওয়ার পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তথ্য চেয়েছিল। এরপরই ইসি এই পদক্ষেপ নিল।

ইসির উপসচিব মনির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়েছে, পিবিআই গত ৩ জুলাই বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেয়।

বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানার মামলা নং-১১, জি আর নং-১৫৬/২০২৫, ধারা ১২০বি/১০৯/১৭১বি/১৭১ডি/১৭১জি/১৭১এইচ/১৭১আই/১২৪৩/৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-এর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে পিবিআই, ঢাকা মেট্রো (উত্তর), ঢাকা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের নাম, ঠিকানা, পিতার নাম, মাতার নাম, স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বর ভোটকেন্দ্রভিত্তিক সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছে।

চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে এসব তথ্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনে ৬৪ জেলার ডিসি এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান। জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারাও ভোটের দায়িত্বে থাকেন। প্রায় দুই লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত থাকেন।