
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রবাস ফেরত ফিরোজ মিয়া হত্যার পেছনে ত্রিমুখী পরকীয়ার আলামত পেয়েছে পুলিশ। এঘটনায় প্রতিবেশী এক নারী ও পুরুষকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৩ জুলাই) তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের মুচিরচালা গ্রামের মৃত বশির উদ্দিনের ছেলে জামিল হোসেন ওরফে সোনা মিয়া (৫৩) ও পাথালিয়া পাড়া গ্রামের প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী ফিরোজা আক্তার (৪৫)।
তবে ফিরোজ হত্যার ঘটনায় তার অন্য আরেকজন প্রেমিকা ও প্রেমিকার স্বজনদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছিলেন নিহতের ভগ্নিপতি এবিএস ফরহাদ মোল্লা। পরে অবশ্য অজ্ঞাতনামা আসামী করে মঙ্গলবারই মামলাটি রুজু করা হয়।
গ্রেপ্তার ফিরোজা আক্তারের দেয়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, ফিরোজা আক্তারের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো ফিরোজ মিয়া ও জামিল হোসেন ওরফে সোনা মিয়ার। সোমবার দিনগত রাতে ফিরোজের সাথে দৈহিক সম্পর্ককালীন বিষয়টি নজরে পরে তার আরেক প্রেমিক জামিল হোসেন ওরফে সোনা মিয়ার। তাদেরকে ঘরে আটকের চেষ্টা করে জামিল। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ের ফিরোজার পেটে টেটা দিয়ে আঘাত করে জামিল।
এই সুযোগে অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় দৌঁড়ে পালিয়ে যায় ফিরোজ মিয়া। জামিলও তার পিছু নেয়। এরপর মঙ্গলবার সকাল বেলা অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায়ই ক্ষেতের পাশে ফিরোজের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তবে কিভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে তা এখনো খোলাসা করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মো. জুয়েল বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা গেছে তবে কিভাবে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে তা উন্মোচন করার জন্য রিমাণ্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত দুই দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন। আশা করছি পুরো বিষয়টি দ্রুতই বের হয়ে আসবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর