
গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকা থেকে নিখোঁজ হৃদয়ের দেহ উদ্ধারের চেষ্টায় অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার পাশে গুলি করে এক কলেজছাত্রকে হত্যার ঘটনা ঘটেছিল।
নিহত কলেজছাত্র হৃদয় (২০) টাঙ্গাইলের গোপালপুরের আলমগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কোনাবাড়ী এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উপস্থিতিতে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের কর্মীরা উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মাসুদ পারভেজ। তিনি উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, ডুবুরি দল প্রস্তুত রয়েছে এবং উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।
এর আগে, এ ঘটনায় পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই কনস্টেবলের নাম মো. আকরাম হোসেন (২২)। তিনি গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট হৃদয় কোনাবাড়ী সড়কে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে হৃদয় রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন শিল্প পুলিশের কিছু সদস্য। তারা হৃদয়কে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে চড়থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি করলে সেখানেই তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় হৃদয়ের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে হুকুমের আসামি এবং অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
সর্বশেষ খবর