
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে তলিয়ে গেছে ভোলার অর্ধশতাধিক নিম্নাঞ্চল। জোয়ারের পানি বিপৎসীমার অনেক ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার বহু মানুষ। শুক্রবার দুপুর থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করলে পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ঘটে।
দুপুর ৩টার মধ্যে মনপুরা উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলি চর, চরফ্যাশনের ঢালচরের অধিকাংশ গ্রাম, ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন ও লালমোহনের অন্তত ৫০টিরও বেশি গ্রাম পানির নিচে চলে যায়। এতে চরাঞ্চল ও বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এদিকে, বৈরী আবহাওয়ায় নদী উত্তাল থাকায় ভোলার ১০টি নৌরুটে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি চলাচলও।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে বাংলাদেশ ভূখণ্ড অতিক্রম করে। এর প্রভাবে ভোলাসহ উপকূলীয় এলাকায় আগামী পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে এবং মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
পানি পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, "ভোলায় আমাদের ৩৫১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এখনো সুরক্ষিত রয়েছে। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে তজুমদ্দিন পয়েন্টে জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ১৪৭ সেন্টিমিটার এবং দৌলতখানে ৭৭ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। তবে পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।"
জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সরবরাহ ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সর্বশেষ খবর