
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট অতি জোয়ারে প্লাবিত হওয়া ভোলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি নামতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরেছে পানিবন্দী মানুষের মাঝে। তবে এখনো থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৫ ও ২৬ জুলাই টানা দুইদিন অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল ও বেড়িবাঁধের বাইরের গ্রামগুলোতে। তবে শনিবার বিকেল থেকে পানি নামা শুরু করায় জনদুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। রবিবার থেকে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
ভোলার মনপুরা উপজেলার কলাতলি চর, চরফ্যাশনের ঢালচর, কুকরি-মুকরি, চরপাতিলা, ভোলা সদরের রাজাপুর, নাছিরমাঝি, মাঝেরচর, দৌলতখানের মদনপুর ও ভবানীপুর, বোরহানউদ্দিনের হাসাননগর ও আলিমুদ্দিন বাংলাবাজার, তজুমদ্দিন ও লালমোহনের অন্তত ৫০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চরাঞ্চলে বসবাসকারী এবং বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা মানুষজন।
ভোলা সদরের নাছিরমাঝি গ্রামের মো. সোহাগ, বোরহানউদ্দিনের হান্নান সর্দার এবং মনপুরার কলাতলি চরবাসী মো. হোসাইন জানান, “শুক্রবারের তুলনায় শনিবার জোয়ারের পানি কম ছিল। গত দুইদিন ঘরবাড়ি ও চলাচলের পথঘাট পানির নিচে ছিল। তবে এখন পানি নেমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।”
ভোলা আবহাওয়া অফিসের প্রথম শ্রেণির পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলছে। এই পরিস্থিতি আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। নদ-নদীতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত রয়েছে।”
এদিকে, অতিজোয়ারের কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে মাছের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, “মৎস্য খাতে ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি।”
মোঃ পারভেজ হোসেন বাঁধন।। ভোলা প্রতিনিধি।। ভোলা, ২৯ জুলাই ২০২৫ ০১৭৪২-৮৪৮৬৩০
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর