
নেত্রকোণায় জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধানমূলক সমীক্ষা শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় নেত্রকোণা শহরের মোক্তারপাড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তন হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বারসিক (বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ) নেত্রকোণা অঞ্চল।
সংবাদ সম্মেলনে সমীক্ষায় উঠে আসা ৩০ জন কৃষকের ওপর গবেষণাপত্র পাঠ করেন বাসসের সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী তানভীর হায়াত খান। এতে নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের ক্যানসারসহ নানা ঝুঁকির তথ্য উঠে আসে। অন্যায়ভাবে নিষিদ্ধ কীটনাশক ভিন্ন নামে বিক্রির বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। গবেষণা সমীক্ষায় ৫টি গ্রামের ৩০ জন কৃষকের মধ্যে ২৩ জনকেই পাওয়া গেছে নানা রোগে আক্রান্ত। গত এক বছরে আক্রান্ত এই ২৩ জন কৃষক ৪৭০ কাঠা জমিতে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার কীটনাশক ব্যবহার করেছেন। এই কৃষকেরা মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, দুর্বলতা, বিভ্রান্তি, উচ্চ রক্তচাপ, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, খাবারের অরুচি, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, অজ্ঞান হওয়া, স্নায়ুদুর্বলতা, ত্বকের রোগ, ঘুম কম হওয়া, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং লিভার ও কিডনির সমস্যাসহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্ব, প্যারালাইসিস, ফুসফুসে ক্যানসার, চোখের ছানি, পা ভারী হয়ে যাওয়া ও বুকব্যথা জনিত কারণে ২৩ জনের চিকিৎসাবাবদ খরচ হয়েছে ১৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এসবের কারণ কৃষকদের অসচেতনতা, নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, বিক্রিতে মনিটরিং না থাকা, কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা না জানা এবং কৃষি বিভাগ, বিপণন কেন্দ্রসহ কৃষকদের মাঝে তথ্যের ঘাটতি। এ কারণে এগুলো নিয়ে পরিবেশবিদসহ কৃষি বিভাগ এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান। এ সময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ খবর