
নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নির্বাচনে ৯২৩ ভোটের মধ্যে ৮০৩ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৪৮২ ভোট পেয়ে সৈয়দ মতিউর রহমান পেয়ারা বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ আহমদ পাঠান পেয়েছেন ৩১৬ ভোট। সিনিয়র সহসভাপতি পদে ৪৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. বয়েতুল্লাহ মিয়া। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মুশফিকুজ্জামান চৌধুরী নোমান (২০৩ ভোট) ও মো. খসরু চৌধুরী (১২৩ ভোট)।
সাধারণ সম্পাদক পদে ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মজিদুর রহমান মজিদ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিহাব আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ৩৫৭ ভোট এবং মুরশেদ আহমদ ৩২ ভোট পেয়েছেন। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন অলিউর রহমান অলি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪০৭। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিউল আলম (২০৭ ভোট), হারুনুর রশিদ (৪৭ ভোট), আবুল খায়ের কায়েদ (১২৮ ভোট)।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন শাহিদ আলী তালুকদার। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীরা ছিলেন জামাল চৌধুরী, সোহেল আহমদ চৌধুরী রিপন, নুরুল গণি চৌধুরী সোহেল ও জাহান আহমদ জানার। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন কমিশন শাহিদ আলী তালুকদারকে বিজয়ী ঘোষণা করলে অপর প্রার্থী জামাল চৌধুরী আপত্তি জানান। পুনরায় ভোট গণনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল ও পাল্টাপাল্টি মিছিল শুরু হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মুদ্দত আলী জানান, এর চূড়ান্ত ফলাফল হবিগঞ্জ জেলায় গিয়ে জানানো হবে। এ বিষয়ে তাঁকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
এর আগে গেল রোববার নবীগঞ্জ উপজেলার বাংলাবাজার জাঙ্গালিয়া মাঠে উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি সম্মেলন ও কাউন্সিল উদ্বোধন করেন। উক্ত কাউন্সিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মুদ্দত আলী এবং নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন অধ্যক্ষ আজিজুল হক, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবুল ফজল, অ্যাডভোকেট গুলজার খান প্রমুখ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর