
নানা আয়োজনে বরিশালে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন হচ্ছে। আজ বুধবার সকাল ৯টায় নগরীর কেন্দ্রীয় নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় শিবিরের উদ্যোগে সমাবেশ হয়। বরিশালে জুলাই বিপ্লবের কেন্দ্রস্থল নতুল্লাবাদ চত্বরকে জুলাই চত্বর ঘোষনা দেন তারা। পরে একটি র্যালি বের করা হয়। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলের সামনে গিয়ে শেষ হয় শিবিরের মিছিল।
অপরদিকে, শহরের আমতলামোড়ে গ্রাফিতিতে তুলে ধরা হয় রক্তঝরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি। সকাল সাড়ে ৯টায় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রায়হান কাওছার এর উদ্বোধন করেন। এময় রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পীর তুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠে অগ্নিঝরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে হয় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে “জুলাই পুনর্জাগরন অনুষ্ঠানমালা ও জুলাই শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা এবং জুলাই নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ৩০ শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধা ৩৮৯ জন সহ মোট-৪১৯ জনকে সংবর্ধনা প্রদান করেন। এছাড়াও আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ ও জাদুঘরের উদ্বোধন করা হয়।
এসময় বক্তরা বক্তব্যে বলেন, নতুন বাংলাদেশ বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ বিনিমানে তরুন প্রজন্ম ভূমিকা রাখবে। এছাড়া যে স্বপ্ন নিয়ে জুলাই আন্দোলন হয়েছে সেই শোষণ মুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে দেশ। আগামী বাংলাদেশ হবে বৈষমীন দুর্নীতিমুক্ত এমন প্রত্যাশা আগতদের।
তারা আরো এদেশে আর কোন স্বৈরাচার সরকার আসতে পারবেনা। স্বৈরাচারের কেউ আসতে চাইলে আমারা আবারও ঐক্য হয়ে রুখে দাড়াবো। জুলাই যোদ্ধারা বলেন, আজ দেশজুরে বইছে মুক্তির আনন্দ। সবার মুখে রয়েছে বিজয়ের স্লোগান। এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর