
কিশোরগঞ্জে উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিজয় র্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় সদর উপজেলার দানাপাটুলী ইউনিয়নের মহিষবেড় গ্রামে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ সোহেল রানার কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
এসময় সোহেল রানার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক (যুগ্মসচিব) ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বিপিএমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এলাকাবাসী ও তাঁদের উপস্থিতিতে তাঁর সমাধিস্থল এক আবেগঘন পরিবেশে পরিণত হয়। সকলেই কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন শহিদ সোহেল রানার আত্মত্যাগ ও দেশের প্রতি তাঁর অকুতোভয় ভালোবাসাকে।
এরপর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক (যুগ্মসচিব) ফৌজিয়া খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক মোঃ রমজান আলী, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার মহাব্যবস্থাপক মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশিদ, ইসলামী আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আলমগীর হোসাইন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসাইন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াজ ইবনে জসিম, ওয়ারিয়র্স অফ জুলাইয়ের কিশোরগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক কনক চাঁদ, শহিদ সোহেল রানার ভাই সানাউল্লাহ ও জুলাইয়ে আহত মাহিরা ইকরা প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। এই আন্দোলনের শহিদদের আত্মত্যাগের কারণেই আজ আমরা ন্যায় ও অধিকার নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সম্মেলনে জেলা প্রশাসকসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং জুলাই শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পৃথক গণমিছিল ও বিজয় মিছিল করেছে। মিছিলগুলো শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে তারা আলাদা আলাদা স্থানে সমাবেশ করে। এসময় মিছিল থেকে "ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ" এবং "হাসিনার বিচার" দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর