• ঢাকা
  • ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৭ সেকেন্ড পূর্বে
আক্কাস আল মাহমুদ রিদয়
বুড়িচং, কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৫৬ রাত

বুড়িচংয়ে ২০৩টি খাল দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান শুরু: জনগণের সহযোগিতা চাইলেন ইউএনও

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো পুনরুদ্ধার ও পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের খালগুলোতে কচুরিপানা ও জলজ আগাছা অপসারণ এবং বাঁধ উচ্ছেদের মাধ্যমে খাল দখলমুক্তকরণের গত ২২ জুলাই থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগকে ঘিরে এলাকাজুড়ে চলছে ব্যাপক সাড়া।

উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক মো. তানভীর হোসেনের নেতৃত্বে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন বুড়িচং প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খোরশেদ আলম।

খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে নৌকা নিয়ে বিভিন্ন এলাকার খালের অবস্থা পরিদর্শন করেন ইউএনও মো. তানভীর হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনিয়া হক, উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহম্মেদ অক্ষয়, বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী খোরশেদ আলম, সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমেন, ক্রীড়া ও আম্প্যায়ন সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিরা।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন বলেন, মূলত ফসলি জমি ও বাড়িঘরের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং পানি প্রবাহ সচল রাখতেই এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলাবদ্ধতা আসলে মানবসৃষ্ট সমস্যা। তাই সকল মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে খালগুলো পুনরুদ্ধার করে এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। আমি বুড়িচংবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।

জানা গেছে, বুড়িচং উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ২০৩টি খাল রয়েছে—যার মধ্যে রাজাপুর ইউনিয়নেনেই রয়েছে ১১০টি খাল। বাকশীমুলে ৩টি, বুড়িচং সদরে ২৬টি, পীরযাত্রাপুরে ৩টি, ষোলনলে ৫টি, ময়নামতিতে ৯টি, ভারেল্লা উত্তর ও দক্ষিণে ১৬টি এবং মোকামে ৩০টি খাল রয়েছে। তবে বাস্তবে এসব খালের অধিকাংশই দখল, ভরাট ও অযত্নে হারিয়ে যেতে বসেছে। কোথাও ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, আবার কোথাও পাকা স্থাপনা গড়ে উঠে খালের চিহ্ন পর্যন্ত মুছে গেছে।

সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা এবং নিয়মিত পানি প্রবাহ রক্ষার উদ্যোগ না থাকায় খালগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগ এলাকাবাসীর মাঝে আশার সঞ্চার করেছে।

উল্লেখ্য, কুমিল্লার উত্তরের সীমান্তঘেঁষা এ উপজেলাটি ১৬৩.৭৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের। প্রায় তিন লাখ মানুষের বসবাস। খালগুলো উদ্ধার ও পানি প্রবাহ সচল হলে কৃষি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]