
"আর কোনো সাংবাদিক নিহত হওয়ার আগেই সারাদেশের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে দুর্বৃত্ত ও তাদের গডফাদারদের রুখে দেওয়া হবে"—গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাভেদ হোসেনের এই অগ্নিঝরা ঘোষণা গাইবান্ধার সাংবাদিক সমাজে নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়েছে।
তিনি বলেন, "আমরা শুধু কলম বা ক্যামেরায় প্রতিবাদ করব না, প্রয়োজনে হাতে হাত রেখে দুর্বৃত্তদের মোকাবিলা করব। সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ মানে গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরা। এটি আর সহ্য করা হবে না।"
শনিবার (৯ আগস্ট) গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সংলগ্ন ডিবি রোডে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধা প্রেসক্লাব এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
প্রেসক্লাবের সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন—প্রধান উপদেষ্টা কে.এম. রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিসউজ্জামান মোনা, সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউন্নবী রাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক রজতকান্তি বর্মন, নির্বাহী সদস্য ফিরোজ কবির মিলন, খায়রুল ইসলাম, রিক্তু প্রসাদ, লাল চান বিশ্বাস, সময় টিভির এসএম বিপ্লব ইসলাম, প্রতিদিনের কাগজের প্রতিনিধি তৌহিদুর রহমান তুহিন, সাংবাদিক জান্নাতুল ইসলাম নাঈম, শাহীন নূরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাভেদ হোসেন।
বক্তারা সাংবাদিক তুহিন হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন। তারা সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় স্থানীয় ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর