
গাজীপুর সদর উপজেলায় ব্যারিস্টার কায়সার আহমেদের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ডাকাত দলের হামলা ও মারধরের শিকার হয়ে ব্যারিস্টার কায়সার সহ তিনজন আহত হয়।
শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে এই ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে ডাকাতরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাতনামা দশ থেকে বার জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ব্যারিস্টার কায়সার বাড়িতে হানা দেয়। রাত আড়াইটা থেকে ৪টার মধ্যে ডাকাতরা বসতঘরের গেটের তালা কেটে ভেতরে ঢোকে।
এরপর প্রতিটি কক্ষের কাঠের দরজা শাবল দিয়ে ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। পরে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে ফেলে।
ধারালো অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা নগদ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, প্রায় ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, জুতা, কাপড়সহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নেয়। এ সময় ডাকাতরা ব্যারিস্টার কায়সায় তার ছোট ভাই আবিরসহ তার মা'কে মারধর করে আহত করে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ রাত সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে পুলিশের আগেই ডাকাতরা বাড়ির পশ্চিম দিক দিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পরিবারে বড় মেয়ে জানান,আমার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর অথচ তার বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি। এই এলাকা ইন্ডাস্ট্রি এরিয়া হাজার হাজার মানুষ এখানে বসবাস করে কিন্তু সেই পরিমাণ নিরাপত্তা এখানে নেই, পুলিশ যদি প্রতিরাতে একবার করেও যদি টহল দিত তাহলে ডাকাতি বা ছিনতাই কোন ঘটনা ঘটত না,আমরা নিরাপত্তা চাই সরকারের কাছে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
ভুক্তভোগী ব্যারিস্টার কায়সার আহমেদ জানান, আমি একজন ব্যারিস্টার বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং আমার ছোট ভাই একজন ব্যবসায়ী অথচ আমাদের কোন নিরাপত্তা নাই, এই ডাকাতির সাথে জড়িত প্রত্যেককে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি এবং নাগরিক হিসেবে নিরাপত্তা চাচ্ছি। জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর