
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে 'না' ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনীকে যুক্ত করা হয়েছে এবং ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত বিধান বিলোপ করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) নবম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা শুরু হয়। চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) সারাদিন আলোচনা হলেও আরপিও নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
সন্ধ্যায় ইসির সিদ্ধান্ত তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সবখানে 'না ভোট' নয়, একক প্রার্থী হলে 'না ভোট' থাকবে। জোট হলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করা হয়েছে; এতে কমিশন অন্যান্য বাহিনীর মতোই সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর সদস্যদের আইন শৃঙ্খলায় নামাতে পারবে।
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, "ইভিএম ব্যবহার হবে না, তাই আরপিও'র প্রস্তাবিত সংস্কারে যাবতীয় বিধান বিলোপ করা হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার শাস্তি সুস্পষ্ট করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের তদন্ত ও ব্যবস্থা ইসিকে জানাতে হবে তিন দিনের মধ্যে।"
২০০৮ সালের নির্বাচনে সব আসনে 'না' ভোটের বিধান ছিল। পরে নবম সংসদে তা বাদ দেওয়া হয়। এবার 'না' ভোটের বিধান চালুর প্রস্তাব ছিল সংস্কার কমিশনেরও।
কিন্তু ইসি সব আসনে 'না' ভোটের বিধান চালু না করলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা রোধে শুধু একক প্রার্থী থাকলে তাকে 'না' ভোটের সঙ্গে লড়তে হবে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা রোধে এ ব্যবস্থা করেছে ইসি।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, "না ভোটের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। যদি কোথাও একজন প্রার্থী হয় সেক্ষেত্রে বিনা ভোটে নির্বাচিত হবে না। সার্বিকভাবে না ভোট নয়। যদি কোনো আসনে একজন প্রার্থী হলে তাকেও নির্বাচনে যেতে হবে, তাকে না ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সেখানে পুনরায় 'না ভোট' বিজিত হলে তাহলে আর ভোট হবে না। তখন ব্যক্তি, প্রার্থী নির্বাচিত হবে।"
আরপিও-এর একগুচ্ছ সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত হলে আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে বলে জানান তিনি।
সরকারের সায় পেলে তা সংশোধন অধ্যাদেশ নামে জারি হবে। সেই সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের কোনো সুপারিশ থাকলে তা পরে যুক্ত করা হবে।
সর্বশেষ খবর