নাটোরের বাগাতিপাড়ায় যুব দিবসের অনুষ্ঠানে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আকাশমণি গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অফিসের আয়োজনে যুব উদ্যোক্তাদের হাতে ২৫টি আকাশমণি চারা, ঋণের চেক ও সফল উদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফ আফজাল রাজন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুস সবুর, কৃষি কর্মকর্তা ভবসিন্ধু রায়, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু হায়দার ও মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ১৫ মে ২০২৫ তারিখের এক প্রজ্ঞাপনে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আগ্রাসী এই প্রজাতির পরিবর্তে দেশীয় ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করতে হবে।

রহিমানপুর গ্রামের সোনিয়া বেগম বলেন, "আমাকে ৬০ হাজার টাকার ঋণের চেক ও একটি আকাশমণি চারা দেওয়া হয়েছে।" চাঁদপুর এলাকার মাসুদ রানা জানান, "১ লাখ ২০ হাজার টাকার ঋণের চেকের সঙ্গে একটি আকাশমণি চারা দেওয়া হয়েছে।"

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুস সবুর দাবি করেন, "সরকার ইউক্যালিপটাস গাছ নিষিদ্ধ করেছে, আকাশমণি নয়।" কিন্তু বাগাতিপাড়া বন কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুল্লাহ স্পষ্ট করে বলেন, "ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি—দুই প্রজাতিই রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ।" ইউএনও মারুফ আফজাল রাজন বলেন, "বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পরে জানানো হবে।" সরকারি প্রজ্ঞাপনের স্পষ্ট নির্দেশনার পরও এই বিতর্কিত গাছের চারা বিতরণ হওয়ায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।