
গাইবান্ধার মাঝিপাড়া গ্রাম আজ শোকে স্তব্ধ। বই হাতে স্কুলে যাওয়ার বয়সে জীবনের শেষ যাত্রায় শুয়ে আছে আনন্দ কুমার (১৪)। বৃহস্পতিবার সকালে সবার মতোই হয়তো দিন শুরু হয়েছিল তার, কিন্তু কয়েকটি ডিম কুড়িয়ে আনতে গিয়ে অদৃশ্য মৃত্যুর ফাঁদে পা আটকে গেল তার। মুহূর্তেই নিভে গেল এক কিশোরের হাসিমাখা জীবন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মালিবাড়ি মাঝিপাড়া গ্রামে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। নিহত আনন্দ কুমার ওই গ্রামের কাজল কুমারের ছেলে এবং স্থানীয় লেংগা বাজার বামা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়দের বরাতে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মর্তুজ আলী বেপারী জানান, মাঝিপাড়া গ্রামে তারা মিয়ার একটি মুরগির খামার রয়েছে। খামারে প্রায়ই শিয়াল এসে ডিম খেয়ে ফেলত। এ কারণে তিনি খামারের চারপাশে বিদ্যুতের তার দিয়ে ফাঁদ পেতে রাখেন।
সকাল বেলায় স্কুলে যাওয়ার আগে খামারের পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল আনন্দ। খামারের নিচে কয়েকটি ডিম পড়ে থাকতে দেখে কৌতূহলভরে তা আনতে যায়। মুহূর্তেই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় তার শরীর। সবাই ছুটে এলেও ততক্ষণে প্রাণহীন হয়ে পড়ে থাকে শিশু আনন্দের দেহ।
মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য মর্তুজ আলী বেপারী বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। এমন এক নিষ্ঠুর ফাঁদে একজন স্কুলছাত্রের প্রাণ চলে যাবে—এটা কল্পনাও করা যায় না।”
গ্রামে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। সহপাঠীরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না, যে বন্ধু সকালে হাসিমুখে পাশ দিয়ে গেল, সে আর কখনও ফিরবে না।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর