
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনো আমাদের দলের ভেতরে আলোচনা হয়নি। আসন নিয়ে আলোচনা হবে তফসিল ঘোষণার পরে।
রবিবার(১৭ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অংশ নেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ''নির্বাচনী প্রস্তুতি যেটা নেওয়া দরকার তারা (ইসি) যথাযথভাবে নিচ্ছে। এখনো কিছুটা কনসার্ন আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে। পুলিশের ভূমিকা অপেক্ষাকৃত দুর্বল... ... কমিশন থেকে যেটা বলা হলো- নির্বাচনের সময়ে যদি প্রয়োজন হয় আরো বেশি সংখ্যক সেনা সদস্য মোতায়নের ব্যাপারে অনুরোধ করবেন। কাজেই ওই বিষয়েও আর খুব বেশি দুশ্চিন্তার কোন কারণ দেখছি না।''
এর আগে গত সোমবার নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’র সংজ্ঞায় ‘সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনী’ যুক্ত করার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে ইসি। আইনে এটি যুক্ত হলে তিন বাহিনীকে নির্বাচনী দায়িত্ব দিতে আলাদা কোনো আদেশের প্রয়োজন হবে না। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও পুলিশের মতো ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন এবং বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবেন।
বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ''পুলিশের যে ভূমিকা অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়েছে, এটা আমরা সবাই জানি কেন হয়েছে। এর আগের যে সরকার ছিল তারা তাদেরকে এমনভাবেই ব্যবহার করেছে যে তারা নিজেরাই তাদের আচরণের জন্য লজ্জিত এবং সেজন্যই এই দুর্বলতা। কিন্তু এটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। নির্বাচন আরো কয়েক মাস দেরি আছে। কাজেই এই সময়ের মধ্যে এটারও কিছু পরিবর্তন হবে। আরেকটা হলো সেনাবাহিনী এখন আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সহযোগিতা করছে। নির্বাচন কমিশন থেকে যেটা বলা হলো যে যে নির্বাচনের সময়ে যদি প্রয়োজন হয় তারা আরো বেশি সংখ্যক সেনা সদস্য মোতায়নের ব্যাপারে তারা অনুরোধ করবেন। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলির জন্য কোস্টগার্ড এবং নেভিও যাতে দায়িত্ব পালন করে সে ব্যাপারে তারা চেষ্টা করবে। তারা অনুরোধ করবেন সরকারকে এবং আমরা জানি যে নির্বাচন কমিশন কোন অনুরোধ করলে সরকারকে সেটা রাখতে হয়।''
তিনি বলেন, ''আমরা যারা রাজনীতি করি, রাজনৈতিক দলগুলি যারা নির্বাচন করে তাদেরও দায়িত্ব আছে। আমাদেরও চেষ্টা থাকতে হবে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোন অবনতি না হয়। যাতে আমাদের দলের নেতাকর্মী, সদস্য, শুভানুধ্যায়ী এবং সমর্থকরা যেন শান্তিপূর্ণভাবে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ভোটে অংশগ্রহণ করে। এটা আমরা এবং অন্যান্য যত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, সবারই একই মনোভাব থাকবে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা আমরা দেখি না।''
‘না ভোট’ বিএনপির দাবি নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন,
'' ‘না’ ভোটের বিষয়ে আমরা প্রস্তাব করি নাই। ‘না’ ভোট আমাদের দাবির ভিত্তিতে হয়নি। কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির সুপারিশে হয়েছে। এখন যেটা করা হচ্ছে সেটাতে আমাদের কোনো মতামত নেই।''
তিনি বলেন, ''এটা ১/১১ সরকারের সময়ে ইন্ট্রোডিউস করা হয়েছিল। নিয়ম হলো যে যখন নির্বাচিত সরকার থাকে না বা ইন বিটুইন টু পার্লামেন্ট সেশনস রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ করে আইন করতে সেরকম করে আইন করা হয়েছিল না ভোটের বিধান এবং একমাত্র 2008 সালের নির্বাচনে এই না ভোটের বিধানটা কার্যকর ছিল। কিন্তু আপনারা জানেন যে না ভোট খুব একটা পড়ে না আমাদের দেশে। এটা আমাদের কারো দাবির ভিত্তিতে হয় নাই। ''
আসন ভাগাভাগির বিষয়ে বিএনপির অন্যতম এই নীতি-নির্ধারক বলেন, ''আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনো আমাদের দলের ভেতরে আলোচনা হয়নি। আসন নিয়ে আলোচনা হবে তফসিল ঘোষণার পরে।''
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর