
পাবনার চাটমোহরে ভেজাল দুধের কারবারি হিসেবে পরিচিত কৃষকদল নেতা আব্দুল মোমিনের দুধ সংগ্রহের প্রতিষ্ঠানে (চিলিং সেন্টারে) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসা নাসের চৌধুরী। বৈধ কাগজপত্র না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে বুধবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের নটাবাড়িয়া বাজারে ইউনিয়ন কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, আব্দুল মোমিন দীর্ঘদিন ধরে নটাবাড়িয়া বিশিপাড়া এলাকায় একটি টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে সয়াবিন তেল, কেমিক্যালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ভেজাল দুধ তৈরি করে আসছিলেন। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক মণ ভেজাল দুধ তৈরি করে তিনি উপজেলার বিভিন্ন দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রে বিক্রি করতেন। বিষয়টি এলাকার অনেকেই জানলেও তাঁর প্রভাবশালী ও দলীয় পরিচয়ের কারণে কেউ মুখ খোলার সাহস পাননি।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসা নাসের চৌধুরী পুলিশ ও আনসার সদস্যদের নিয়ে সোমবার রাত ১০টার দিকে আব্দুল মোমিনের ভেজাল দুধের কারখানায় অভিযান চালান। এ সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে আব্দুল মোমিন ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান। ক্যানভর্তি প্রায় ২০ মণ ভেজাল দুধ, সয়াবিন তেল, কেমিক্যাল, মিক্সার গ্রাইন্ডারসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এই ঘটনার পর কোনো বাদী না পাওয়ায় পুলিশ মামলা নেয়নি।
তবে, বুধবার ভোর থেকে ওই নেতা পুনরায় বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দুধ সংগ্রহের প্রতিষ্ঠান (চিলিং সেন্টার) চালু রেখেছিলেন। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে আব্দুল মোমিনকে বৈধ কাগজপত্র না নিয়ে দুধ সংগ্রহ বন্ধ রাখার জন্য সতর্ক করা হয়। এ সময় থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সত্যতা নিশ্চিত করে মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনার জন্য আব্দুল মোমিনকে জরিমানা করা হয়েছে। শিশু খাদ্যের মতো এমন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কোনো অবহেলা করলে পরবর্তীতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর