
নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাবে জমা দিলেও সেখানে ব্যাংক হিসাব না থাকার কারণ উল্লেখ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, “গত ১৫ বছর আমরা বাড়িঘরে থাকতে পারি নাই। ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যাবো কেন? ব্যাংক (একাউন্ট) খুলতে যদি যেতাম আয়না ঘরে ঢুকতে হতো।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি বলেন, “গত ১৫ বছর আমরা বাড়িঘরে থাকতে পারি নাই। ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যাবো কেন? ব্যাংক (একাউন্ট) খুলতে যদি যেতাম আয়না ঘরে ঢুকতে হতো। … সে কারণে যে রিটার্নটা আমরা এখন দিয়েছি সেখানে ব্যাংক উল্লেখ নেই। সামনে আগামী রিটার্নের সময় অবশ্যই পরিবেশ অনুকূল থাকলে আমরা এটা করব।”
ব্যাংক একাউন্ট না থাকার বিষয়ে একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ উল্টো প্রশ্ন রাখেন, কেন এর জবাবটা আপনিই দেন, আমরা ১৫ বছর কোথায় ছিলাম? এ নেতার ভাষ্য, হিসাব পদ্ধতিতে যদি যান আমার বাবা দাদার আমলে, হিসাব পদ্ধতিতে ব্যাংক একাউন্ট কাজ কত জনের ছিল? কোটি কোটি টাকার লেনদেন তো হয় দোকানগুলোয়। এখনও বাংলাদেশের একটা বিরাট নাম্বার আছে যে তাদের ব্যাংক একাউন্ট নেই।
তিনি বলেন, হিসাবের যদি সিস্টেম আনেন যার যার মত হিসাব রাখতে পারে। ইলেকশন কমিশনও তার কোন শর্ত আরোপ করে না যে ব্যাংক হিসাব খুলেই দলের হিসাব রাখতে হবে। এটা আমার দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।
হামিদুর রহমান আযাদ জানান, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যাংক একাউন্টের ভিত্তিতে ২০০৮ সালের যে রিটার্ন জমা দেওয়া হয়। সেখানে হিসাবের মধ্যে ব্যাংক একাউন্ট উল্লেখ ছিল।
তিনি বলেন, সে অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। কিন্তু এরপরে দেশে কি হয়েছে আপনারা জানেন ব্যাখ্যার দরকার নাই। এই ১৫ বছর আমরা বাড়িঘরে থাকতে পারি নাই। ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যাবো কেন? ব্যাংক (একাউন্ট) খুলতে যদি যেতাম আয়না ঘরে ঢুকতে হতো… আপনি ব্যাংক একাউন্ট করতে যাবেন কিভাবে?”
তিনি বলেন, সে কারণে যে রিটার্নটা আমরা এখন দিয়েছি সেখানে ব্যাংক উল্লেখ নাই সামনে আগামী রিটার্নের সময় অবশ্যই পরিবেশ অনুকূল থাকলে আমরা এটা করব” সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার আগে সর্বশেষ আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি বছর তারা নিবন্ধন ফিরে পায়। সেই বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এক যুগ পর ফের আয় ব্যয়ের হিসাব দিল দলটি।
জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দল গত ৩১ জুলাই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষের আয়-ব্যয়ের যে হিসাব জমা দেয়। সে হিসাব অনুযায়ী
২০২৪ সালে ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা আয়ের বিপরীতে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা ব্যয় দেখিয়েছে জামায়াত। তবে ব্যাংক হিসাবের কোনো তথ্য ছিলো না সে আর্থিক বিবরণীতে।
নির্বাচন কমিশনের দল নিবন্ধন বিধি অনুযায়ী, প্রত্যেকটি দলের ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ও ব্যাংকের নাম থাকা বাধ্যতামূলক।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর