যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন-পদোন্নতি আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ৫১ জন শিক্ষক, প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তা ও ৮০ জনেরও বেশি কর্মচারীর কোনো আপগ্রেডেশন-পদোন্নতি বোর্ড হয়নি। সর্বশেষ এই বোর্ড হয়েছিল সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সময়কালে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদের দায়িত্বপ্রাপ্তির পর থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো এক অদৃশ্য কারণে কোনো আপগ্রেডেশন বোর্ড করেননি তিনি। এছাড়াও, অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ ও পদোন্নয়ন নীতিমালা আইনে 'ডিউ ডেট' থাকলেও যবিপ্রবিতে এমন আইন নেই। ফলশ্রুতিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে আমাদের অনেক সহকর্মীসহ অনেকের আপগ্রেডেশনের শর্তাবলী পূরণ হওয়া সত্ত্বেও আপগ্রেডেশন হয়নি। প্রশাসনের এমন গাফিলতির কারণে দেড় বছর ধরে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।"

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যবিপ্রবির এক শিক্ষক বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের এক বছর বা তারও বেশি সময় ধরে আপগ্রেডেশন আটকে আছে। অপরদিকে ডিউ ডেটের নীতিমালা না থাকার কারণে পদোন্নয়ন গণ্য করা হবে রিজেন্ট বোর্ড হওয়ার তারিখ থেকে। এতে যেসব শিক্ষকের আপগ্রেডেশনের শর্তাবলী পূরণের পরেও দীর্ঘদিন ধরে বোর্ড হয়নি তাদের সেই সময়গুলো অকার্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এতে আমাদের অনেক সহকর্মী কাজের স্পৃহা হারাচ্ছেন, চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। আমরা উদ্ভূত সমস্যাগুলো কোনো মাধ্যমে প্রশাসনকে জানাতে অক্ষম, কারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কোনো সংগঠন বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।"

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন, "আমরা জানি না কেন আমরা এমন বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। নিয়মানুযায়ী আমাদের শর্ত পূরণের পরেও আমরা স্বল্প আয়ের মানুষেরা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত।" এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সালাউদ্দিন/সাএ