
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামে ভাতিজা কামরুল হাসানের স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চাচা শ্বশুর মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে। মামুন মিয়া ওই গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর স্বামী কামরুল নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত মামুন মিয়া ভাদ্রা ইউনিয়নের কোদালিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি এলাকায় চলাফেরা করতেন এবং এলাকার সহজ-সরল ব্যক্তিদের নানাভাবে নির্যাতন করতেন।
অভিযোগ উঠেছে, মামুন তার ভাতিজা কামরুলের স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছিলেন। কামরুলের স্ত্রী বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারসহ এলাকাবাসীকে জানানোর পরেও মামুনের দলীয় প্রভাবের কারণে কেউ সঠিক বিচার করতে পারেননি। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে মামুন পলাতক রয়েছেন।
সাবেক ও বর্তমান ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কামরুল হাসানের স্ত্রী তাঁদের কাছে এসে তাঁর ওপর নির্যাতনের সব কথা খুলে বলেন। এলাকাবাসী মিলে মামুনের ভাই ও তাঁর পরিবারের কাছে বিষয়টি জানান। মামুনের বড় ভাই প্রথমে বিষয়টি বসে সমাধানের কথা বললেও, একদিন পর শালিশে বসতে অস্বীকৃতি জানান।
কামরুল মিয়া বলেন, "আমি ঢাকায় পুস্তক কারখানায় কাজ করি। বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকি। আমার স্ত্রী বাড়িতে একা থাকে। আমার চাচা মামুন বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গত তিন বছর ধরে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। কিছুদিন আগে আমার স্ত্রী বিষয়টি আমাকে জানায়। আমি মামুনের পরিবার ও ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদসহ এলাকাবাসীর কাছে বিচার চাই। বিচার না পেয়ে পরে নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দেই।"
ভুক্তভোগী কামরুলের স্ত্রী বলেন, "আমি এক ছেলে ও ছোট মেয়ে নিয়ে একা বাড়িতে থাকি। রাত-বিরাতে বাইরে বের হলে আমার চাচা শ্বশুর জোর করে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। আমি তার পরিবারের লোকজনকে বললে তারা আমার কথা বিশ্বাস করে না। সে আওয়ামী লীগের নেতা। আমি কাউকে বললে আমাকে বাড়িছাড়া করবে বলে ভয় দেখায়। কেউ তার বিপক্ষে কথা বলার সাহস পায় না। এই সুযোগে সে আমার সাথে তিন বছর ধরে এই কাজ করে আসছে। লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে বলতেও পারিনি। আমার চাচী ও দাদী শাশুড়ি দেখেও তা অস্বীকার করে। নিরুপায় হয়ে আমি আমার স্বামীকে জানাই।"
ঘটনার বিষয়ে জানতে মামুনের মোবাইল ফোনে (০১৭৯৮... ৬২৭৯) যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাগরপুর থানার এসআই মিলটন মোবাইল ফোনে জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বাদীকে কোর্টে মামলা দিতে বলা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর