
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড এলাকায় টমটম ও সিএনজি ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ছাব্বির মিয়ার দাফন গতকাল বুধবার সম্পন্ন হয়েছে। বিকাল সাড়ে ৫টায় রাধাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এই জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ এবং রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
এদিকে, এই খুনের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। পুলিশ উভয় গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে। ফলে কাকুড়া, করিমপুর, রাধাপুর ও জামারগাঁও গ্রামগুলো পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। গতকাল দুপুরে নিহত ছাব্বির মিয়ার লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। বিকালে তার লাশ গ্রামের বাড়ি রাধাপুরে পৌঁছলে স্বজনদের কান্নায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড এলাকার দীঘলবাক ইউনিয়নের জামারগাঁও, রাধাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আফজল মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কাকুড়া করিমপুর গ্রামের টমটম চালক রাশেদ, সিএনজি চালক মোহাম্মদ আলী ও সিরাজুলের টমটম ভাড়া নিয়ে গত সোমবার রাত ১০টায় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জেরে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রাধাপুর ও জামারগাঁও উভয় গ্রামের মানুষ মাইকিং করে প্রস্তুতি নিয়ে কাকুড়া ও করিমপুর গ্রামের কাছে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে। এতে সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষে ৫০ জন আহত ও ছাব্বির মিয়া নামে এক যুবক নিহত হন। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল বিকেলে নিহত ছাব্বির মিয়ার জানাজার নামাজে হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জামায়াতের সিলেট মহানগর সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলী, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শেফু, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান, নবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আশরাফ আলী, দীঘলবাক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ছালিক মিয়া, কুশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে, কিন্তু এখনও কেউ মামলা দেয়নি। আমরা সংঘর্ষে জড়িত উভয় গ্রামের মধ্যে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এলাকায় পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সর্বশেষ খবর